কুলাউড়া প্রতিনিধি :
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে এক যুবলীগ নেতাকে বিএনপির সদস্য করা নিয়ে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া আটকে আছে। ইউনিয়ন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা হৃদয় আহমদ সদরের নাম প্রস্তাব করেন তারই চাচা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রনি হাসান সালাম। এতে আপত্তি দেওয়ার ঘটনায় ওই গ্রুপের তোপের মুখে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবুল কালাম তছন। তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ভাটেরা ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক নম্বর থেকে ৪ নম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ড কমিটি মোটামুটি সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হয়। কিন্তু ১৮ এপ্রিল ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের পর কমিটিতে যুবলীগ নেতা হৃদয় আহমদ সদরকে সদস্য করার প্রস্তাব করেন তারই চাচা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রনি হাসান সালাম।সাথে সাথে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনের সভাপতি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবুল কালাম তছন বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে না রাখার ঘোষণা দিলে যুগ্ম আহবায়ক রনি হাসান সালাম তেলেবেগুনে জলে উঠেন।তার দলবল আহবায়ক আবুল কালাম তছনের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
ভাটেরা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, এসময় অন্তত ২০থেকে ৩০ জনের একটি গ্রুপ মারমুখী আচরণ করে এবং যুবলীগ নেতা সদরের নামে স্লোগান দেয়। আহবায়ক আবুল কালাম তছন তখন কাউন্সিল স্থগিত করে অনূষ্ঠাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ভাটেরা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবুল কালাম তছন মৌলভীবাজার নিউজকে জানান, দলীয় নির্দেশনা রয়েছে অরাজনৈতিক ব্যক্তি বা অন্য দলের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া যাবে না। কিন্তু তারা একজন যুবলীগের কর্মীকে দলের সদস্য করার জন্য আমাকে চাপ দেয়। এরপর থেকে কাউন্সিল প্রক্রিয়া আটকে আছে।
এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার সকালে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খানকে বার বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু মৌলভীবাজার নিউজ কে জানান তিনি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। ঢা থেকে ফিরে বিষয়টির শুরহা করবেন।