নিউজ ডেস্ক :
বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান শাসিত অঞ্চলের মধ্যবর্তী সীমান্তে ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জাতীয় পরিষদে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এই দাবি করেন। তবে ভারত এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
অপরদিকে পাকিস্তানে ভারতের চালানো অপারেশন সিঁদুরে ‘শতাধিক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে’ বলে বিরোধী দলের নেতাদের কাছে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে অস্ত্রধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিরাপত্তা বাহিনী ও কূটনীতিকদের কাছে নতুন নয়, বরং বেশ পরিচিত। এমন একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছে বিবিসি বাংলা (অনলাইন)।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় এর আগে, ২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে সামরিক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর পাকিস্তানের ‘সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছিল ভারত।
পুলওয়ামায় বোমা হামলায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জনের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে বালাকোটের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালানো হয়। ১৯৭১ সালের পর সেটাই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রথম এই ধরনের হামলা।
<span;> এরপর দুই দেশের মধ্যে ‘প্রতিশোধমূলক অভিযান’ এবং আকাশপথে লড়াই শুরু হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই দুই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হোটেল, রেলস্টেশন ও ইহুদি কেন্দ্রে যে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়, সেখানে নিশানায় ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। মুম্বাইয়ের ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬৬ জন ব্যক্তি।
ভারত প্রতিবারই পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে এই জাতীয় হামলার জন্য দায়ী করেছে এবং ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এসব গোষ্ঠীকে সমর্থনের অভিযোগও তুলেছে। আর উত্তরে পাকিস্তান বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, এই জাতীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বার বার উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে, বিশেষত ২০১৯ সালের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির এই সীমা ‘নাটকীয়ভাবে’ বদলে গেছে।
ভারতের দিক থেকে ‘নতুন নিয়ম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তঃসীমান্ত ও বিমান হামলা এবং তার প্রত্ত্যুতর মিলেছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও। দুই তরফের পদক্ষেপই কিন্তু বিদ্যমান ‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।