শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :
চা শ্রমিকদের কর্মস্থল এলাকায় ল্যাট্রিন না থাকা অমানবিক উল্লেখ করে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ল্যাট্রিন স্থাপন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিতে হবে । শনিবার (১৭ মে) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা বলেন,চা বাগানের মালিকরা যদি শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান তাদের খুঁজে এনে বেতন আদায় করা হবে। এসময়
চা শ্রমিকদের চাকরির পর নির্দিষ্ট আবাসন, বেতন কাঠামো এবং সংগঠনের নির্বাচনের বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, “চা বাগানে যারা ঘুরতে আসেন তাদের কাছ থেকে ২০ টাকা ফি আদায়ের জন্যও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন’’ বিদেশে একটি ফুল দেখতে গিয়ে যেখানে পাউন্ড ইউরো দিতে হয়, তা হলে আমাদের দেশে চা বাগান ঘুড়তে আসা পর্যটকদের কেন ফি দিবেন না।’’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর মোহাম্মদ ইমরুল মহসিন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন। এসময় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সামাদ আল আজাদ, শ্রম অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহ আব্দুল তারিক ও বিভাগীয় উপপরিচালক মহব্বত হোসাইনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় চা শ্রমিকদের নেতৃবৃন্দও সভায় বক্তব্য রাখেন এবং তাদের দাবি-দাওয়ার একটি স্মারকলিপি উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন।
এর আগে উপদেষ্টা অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপন, শ্রীমঙ্গলে কলকারখানা ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন এবং সকাল ৯টায় শহরের অভিজাত হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ্ েআইএলও আয়োজিত একটি শিশুশ্রম বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধন ও অংশগ্রহণ করেন।