কুলাউড়া প্রতিনিধি।
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে বিএনপির একটি ওয়ার্ড কাউন্সিল ভন্ডুল হয়ে গেছে। শুক্রবার ইউনিয়নের রাজনগর প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে উক্ত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। অভিযোগ উঠেছে পৃথিমপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে সেসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের অতিথি করায় সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রতিহত করেছে।
বিএনপির দলীয় এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল ছিলো। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অতিথিরা এলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল শুরু করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুইয়া। এছাড়া উপজেলা বিএনপির নেতা আকদ্দস আলী মাস্টার এবং আবু সুফিয়ানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান,একপর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বেলাল আহমেদ রব্বানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে কাউন্সিলে বাধার সৃষ্টি করে। এসময় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কাউন্সিলের প্রধান অতিথি ও ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে কুলাউড়ায় ফিরে যান।
জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র নেতা নবাব আলী হাসিব খান এসময় তাৎক্ষনিক এক পথসভায় স্থানীয় বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে তিনি মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন, উপজেলা বিএনপির কয়েক নেতা টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের এডভোকেট আহমেদুর রহমান মুরাদকে ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক করেছেন।<span;> বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ফলে সাধারণ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে প্রতিহত করেছে। আগামীতেও এধরণের বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কোনো দলীয় কার্যক্রম চালালে প্রতিহত করা হবে।
ইউনিয়ন বিএনপির উক্ত ওয়ার্ডের সমন্বয়ক আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন, “আমি উক্ত ওয়ার্ডের সমন্বয়ক। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমার কাছ থেকে ভোটার লিস্ট সহ কাগজপত্র নিয়ে যান।পরে তাদের মনগড়া ব্যানার বানিয়ে কাউন্সিল শুরু করায় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহত করেছে”।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া উক্ত ঘটনার সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের পরিবারের লোকজনকে দায়ী করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এমপি সাহেবর ভাই নবাব আলী তকী খান এবং ছেলে আলী হাসিব খান পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আমরা কাউন্সিল স্থগিত করে ফিরে এসেছি।