কুলাউড়া প্রতিনিধি
হাজীপুর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আহত হয়েছিলেন ২ বিএনপি নেতা। আর ওই ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম পাভেল আহমেদসহ ২ ছাত্রদল নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দলীয় কোন্দলের জেরে বিএনপির ২ কর্মীকে আহত করার ঘটনায় জুডিশিয়াল আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলায় জামিন নিতে গেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে ইউপি বিএনপি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে এখন দলীয় কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ কর্মীদের অভিযোগ হাজীপুর ইউনিয়ন ও কুলাউড়া উপজেলার বিএনপি নেতারা এই ঘটনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে হাজীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর বিলেরপার ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে জন্য নুরুল ইসলাম নামক এক কর্মীকে ভোটার করা নিয়ে ইউনিয়ন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম পাভেল আহমেদ ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির সদস্য সাহেদুর রহমান শাহেদের সমর্থকেরা বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।বিশেষ করে দক্ষিণ কেওলাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম নামক এক কর্মীর ভোট তুলতে বাধা দেন পাভেলের পক্ষের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নুরুলকে ভোটার করার পক্ষে অবস্থান নেন সাহেদুর রহমান শাহেদরা। এনিয়ে গত ২০ এপ্রিল হাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলের দিন প্রথমে সেখানে উভয় পক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। বিএনপি নেতা শাহেদুর রহমান শাহেদ অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার জের ধরে ওইদিন রাতে পাভেলের বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ভাই জাহিদসহ দলের নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ভাই জাহিদুর (৪৮) ও নুরুল ইসলামের ভাই জাহিদুল ইসলাম নামক ২ জন আহত হন। এর জের ধরে আদালতে মামলা করেন ভিকটিমের ভাই নুরুল ইসলাম ।
আইনজীবী সুত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাভেল ও হিমেল হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাহেদুর রহমান শাহেদ বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে ফেইসবুকে ফেইক আইডি খুলে এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা কবরস্থান এমনি রাজনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন জনের চরিত্র হনন করে আসছে।এখন এক বিএনপি কর্মীকে আওয়ামী লীগ আখ্যা দিয়ে ভোট তুলতে বাধা সৃষ্টি করে। আমরা প্রতিবাদী হলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জানতে অপর পক্ষের জুবেদ কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিধান চন্দ্র দে বলেন, এই ঘটনা জানার পর ইউনিয়ন এবং উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পক্ষগুলোর অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।