কুলাউড়া প্রতিনিধি
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে।২৩ মে ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে সংগঠিত ঘটনার পর থেকে এই অচলাবস্থা। এ বিষয়ে
পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ইউপি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী তকী খান দায়ী করলেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কয়েক নেতা এবং বর্তমান আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে।
তিনি বলেন, এসব আমর ভাই সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানসহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র । আমাদের পরিবারকে হেনস্তা এবং আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার লক্ষে এই কার্যকমগুলো করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, একসময় যারা সাবেক এমপি এম এম শাহীনের অনুসারী ছিলো তারাই এখন আবার বিএনপি নেতা আবেদ রাজার বগলের নীচে আশ্রয় নিয়ে এসব করছে।
নবাব আলী তকী খান বলেন, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের বিষয়ে ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটিতে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলের সমন্বয়ক আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেনকেও মাইনাস করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সোহেল চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দালাল মুরাদ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাকের বুরহান উদ্দিন ময়েজ এবং আলীনগর গ্রামের তাহির সর্দারকে এসব করছেন।নবাব আলী তকী খান কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়নি। কোনো উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করা হয়নি। সম্মেলন আয়োজনে ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করার ফলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন আমরা সম্মেলনে বন্ধ করি এবং ব্যানার খুলে রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ২৭ মে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি । আশা করছি উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটা সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির দলীয় এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,২৩ মে শুক্রবার রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল ছিলো। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অতিথিরা এলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল শুরু করেন। এসময় জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বেলাল আহমেদ রব্বানের নেতৃত্বে কাউন্সিলে বাধার সৃষ্টি ক। এসময় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কাউন্সিলের প্রধান অতিথি ও ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে কুলাউড়ায় ফিরে যান।
এই ঘটনায় মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ভাই নবাব আলী তকী খানসহ পৃথিমপাশা বিএনপির ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে হামলা ভাংচুর, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেওয়ার অভিযোগ এনে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতৃবৃন্দ হলেন পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খানের ছোট ভাই নবাব আলী তকী খান, এমপির ঘনিষ্ঠ আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন ও আব্বাস আলী মেম্বার বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী ও মো শামছুল ইসলাম । গত ২৫ মে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান এবং যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান ৩ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময় বেধে দিয়ে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ মে শুক্রবার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল চলাকালে অভিযুক্ত নেতারা ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে হামলা করে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করেন। তারা <span;>শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করে দেন।
<span;>নোটিশের কপি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ জি কে গউছ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনকে সরবরাহ করা হয়।