স্টাফ রিপোর্টার
অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। গত দু’দিন যাবত কখনো হালকা আবার কখনো ছিলো মাঝারি বৃষ্টিপাত। কিন্তু শুক্রবার ভোর রাত থেকে শুরু হয়েছে অতিভারী বর্ষণ। বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলার জনজীবনে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ভারী বর্ষণে দ্রুত বাড়ছে নদনদীর পানি। তলিয়ে যাচ্ছে জেলার ৭ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যাচ্ছে সদ্য লাগানো আউশধান।আছে পাহাড় ধ্বসের আশংকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিকাল বিভাগের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজার সদরে। এখানে ১শ’ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া হাজীপুর ইউনিয়নের মনু রেল ব্রিজে ৬৬ মিলিমিটার, কমলগঞ্জ ৮৫ মিলিমিটার, শেরপুর ৮৭ মিলিমিটার এবং শ্রীমঙ্গল ১শ’ ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শ্রীমঙ্গল সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধ্বসের আশংকা করছে প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বুলবুল আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে জানান বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে দ্রুত বাড়ছে নদনদী ও হাওরের পানি। গত ২৪ ঘন্টায় মনু ধলাই সোনাই ফানাই সহ মৌলভীবাজারের সকল নদনদীর পানি বেড়েছে। আগাম বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিকাল বিভাগের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে মনু ধলাই সোনাই, ফানাই, কাপুয়া, জুড়ী, কন্টিনালাসহ পানি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মনু নদীর পানি।
গত ২৪ ঘন্টায় মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে ১শ ০৪ সেন্টিমিটার, মনু রেল ব্রিজ এলাকায় ৬৫ সেন্টিমিটার এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীর পানি ৫৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ জানান, নদনদীর পানি বাড়লেও পানি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে লাউয়াছড়ায় একটি গাছ রেললাইনের উপর হেলে থাকে। ওই গাছের সাতজে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের এক ধরনের সংঘর্ষ হলে ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।