বিশেষ প্রতিবেদন
অতিভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারের নদনদী বিপজ্জনক রুপ নিয়েছে। ফুঁসে উঠেছে হাকালুকি হাওরসহ মনু ধলাই সোনাই ফানাই জুড়ী কন্টিনালা নদী। রোববার সকাল ৯ টায় মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার এবং জুড়ী নদীর পানি জুড়ীতে বিপদ সীমার ১ শ ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া মনু নদীর পানি মনু রেল ব্রিজ এলাকায় এবং ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার হামিদ জানান অতি ভারীবর্ষণে মৌলভীবাজার- চান্দগ্রাম ভায়া কুলাউড়া বড়লেখা সড়কের লোয়াইউনি এলাকায় টিলা ধ্বসে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের লোকজন সেখানে কাজ করছে।
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শালিকা এলাকায় একটি কালভার্টের জন্য সড়ক বিভাগ রাস্তা কেটেছিলো। এখন মনু নদীর পানি বেড়ে তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
কুলাউড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো: মহি উদ্দিন জানান, কুলাউড়া পৌরসভা পূর্বদিকে গোগালীর বাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ জয়পাশা দানাপুর ও জয়পাশা এলাকার ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিকাল বিভাগের তথ্য মতে শনিবার নজিরবিহীন অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এরমধ্যে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকার দক্ষিণবাগে ৩৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এছাড়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে ২৫৮মিলিমিটার মৌলভীবাজার শহরে ২৩২ মিলিমিটার, শ্রীমঙ্গলে ১১৭ মিলিমিটার, মনু রেল ব্রিজ ১০৬ মিলিমিটার,বড়লেখা উপজেলার লাতু ১৬০ মিলিমিটার এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ভয়াবহ বন্যার আশংকা করছেন স্থানীয়র।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল বাছিত বাচ্চু
বার্তা সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয় :
২৭ শাহ মোস্তফা রোড, মৌলভীবাজার -৩২০০
সেলফোন : ০১৭১২১৮২২৯৬ (𝐖𝐡𝐚𝐭𝐬𝐀𝐩𝐩) ০১৫৫৩৪৫৬৬৯৫
ই -মেইল : 𝐛𝐚𝐜𝐡𝐜𝐡𝐮.𝐬𝐲𝐥@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
𝐟𝐛: 𝐀𝐛𝐝𝐮𝐥 𝐁𝐚𝐬𝐢𝐭 𝐁𝐚𝐜𝐡𝐜𝐡𝐮
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত