বিশেষ প্রতিনিধি :
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক এমপি এম নাসের রহমান হাজীপুর ইউনিয়নে আসছেন। আগামী ৪ জুন হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেসব সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান যোগ দিলেও বিএনপির বর্তমান পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায়
সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পুত্র এম নাসের রহমান কুলাউড়া উপজেলার কোনো ইউনিয়ন সম্মেলনে এই প্রথম যোগ দিচ্ছেন। এতে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।আছে নানা কৌতুহল!
জানা গেছে,সাবেক এমপি এম নাসের রহমান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করার পর হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির ২ জুনের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। আগামী ৪ জুন বুধবার এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বাবু বিধান চন্দ্র দে মৌলভীবাজার নিউজকে জানান হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল ২ জুন সোমবার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত: তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে আর তারিখ পরিবর্তন হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াই হবে অকল্পনীয়।
স্থানীয় ভোটারদের মতে এখন প্রার্থীদের অতীত রাজনৈতিক অবদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডেরও ব্যাপক বিশ্লেষণ করছেন কাউন্সিলররা।
হাজীপুর ইউনিয়নের কেওলাকান্দি গ্রামের একজন প্রবাসী বিএনপি নেতা মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন, সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি ইয়াকুব আলী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইয়াকুব আলী একজন কর্মীবান্ধব নেতা। বিগত দিনে দলকে তিনি সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বিএনপি হাজীপুর ইউনিয়নে একক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো। যেকারণে তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । বিশেষ করে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে কারাবন্দীও হয়েছিলেন। কাউন্সিলরা বিষয়টি বিবেচনায় নিলে তিনি সহজে বিজয়ী হবেন।
পীরেরবাজার এলাকার আরেক প্রবাসী এই অভিমত প্রত্যাখ্যান করে বলেন, অবদান অনেকের আছে। কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই। ফারুক আহমেদ পান্না বিগত ২৫ বছর যাবত ধারাবাহিক ভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আন্দোলন সংগ্রামে তার ভুমিকা ক্ষেত্রবিশেষ প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ফারুক আহমেদ পান্না একজন স্পষ্টভাষী রাজনৈতিক কর্মী। এই গুনাবলীত জন্য কাউন্সিলররা তাকে বেছে নেবেন।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমন ধারণা ছিলো কাউন্সিলরদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এখন দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াইয়ের অভাস পাওয়া গেছে।
এপদে একাংশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল এবং যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুমেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমন ধারণা কাউন্সিলরদের। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যুবদলের সাবেক সভাপতি আহরারুজ্জান আকরারকে এগিয়ে রাখছেন বেশীর ভাগ কাউন্সিলর।
বিএনপির এক সিনিয়র নেতা মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন, এগুলো কাউন্সিলরদের অভিমত। সময় সময় তা পরিবর্তন হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে কে বিজয়ের হাসি হাসবেন? কারা পাচ্ছেন আগামী দুইবছরের জন্য হাজীপুর বিএনপির অভিভাবকত্ব সেটা জানার জন্য ৪ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!