বিশেষ প্রতিনিধি :
সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎ নতুন আবেগ! নতুন প্রত্যাশা! নতুন উত্তেজনা! জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে মাঠ যখন উত্তপ্ত। এমনি সময়ে কুলাউড়া উপজেলায় চলছে সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীতার প্রচারণা। মানে মৌলভীবাজার -২ ( কুলাউড়া) আসনে ধানের শীষের প্রার্থীতা নিয়ে। এখানে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে শওকতুল ইসলাম শকু কে প্রার্থী চেয়ে বসেছেন দলের উঠতি বয়সের কর্মীরা।অনেক দিন হয় শোনা যাচ্ছিলো কুলাউড়ায় বিএনপির একক প্রার্থী নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে এডভোকেট আবেদ রাজা। আর জোটগত ভাবে হলে নবাব আলী আব্বাস খান। কিন্তু গত দুদিন ধরে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে একটি ছবি। নাম শওকতুল ইসলাম শকু। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। উপজেলা বিএনপির আগামী কাউন্সিলে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি যুবদল ছাত্রদল ও শ্রমিকদলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের অনেক পদবীধারী নেতৃবৃন্দও আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীহের প্রার্থী হিসেবে শওকতুল ইসলাম শকুকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন। আর এই ধরনের পোস্ট পাওয়ার পর অনেক আবার এডভোকেট আবেদ রাজাকে প্রার্থী চেয়ে পালটা গরম গরম পোস্ট করছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জান সজল বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন।
তিনি মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন, জনাব শওকতুল ইসলাম শকুতো দলীয় প্রার্থীতার দাবি করে রাজনীতিতে আছেন। যেহেতু নির্বাচন নিয়ে দেশে এক ধরনের আলাপ আলোচনা চলছে সমর্থকেরা এমন প্রার্থীতার দাবি জানাতেই পারে।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেছেন ভিন্ন কথা।
তিনি মৌলভীবাজার নিউজকে বলেন এভাবে আগাম প্রচারণা ঠিক না। এটা দলের ঐক্যের জন্য ভালো লক্ষ্ণ না। আমরা একটি দল একটি পরিবার। দল প্রার্থী হিসেবে যাকে হাজির করবে আমাদের কাজ তাকে নির্বাচিত করা। আগামী ৪ জুন এডভোকেট আবেদ রাজা সাহেব কুলাউড়া আসলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য এডভোকেট আবেদ রাজা এবং শওকতুল ইসলাম শকু কুলাউড়া উপজেলার নির্বাচনী মাঠে পুরাতন খেলোয়াড়। ২০০১ সালের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কুলাউড়া আসনে ভোট করেছেন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ছিলেন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে আসা শওকতুল ইসলাম শকু তাদের পরিবারের পুরোনো আস্থাভাজন বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে এডভোকেট আবেদ রাজা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন। এরপর থেকে কুলাউড়া উপজেলার আনাচে কানাচে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো স্রোতের অনুকুলে আবার কখনো স্রোতের প্রতিকূলে।