স্টাফ রিপোর্টার:
ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিকাশ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান আক্তার। বন্ধুকে নিয়ে সাজিয়েছিলেন কোম্পানির টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরিকল্পনা মাফিক কাজ হয়েছিলো। কিন্তু বিকাশ কর্মকর্তা(ডিস্টিবিউশন সেলস অফিসার) খলিলুর রহমান আক্তারের এক ম্যাকি ছিনতাইয়ের নাটক ভেস্তে গেছে। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ওই ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করেছে। খলিলুর রহমান নামক ওই কর্মকর্তা এবং তার সহযোগী সাইদুল ইসলাম এখন কারাগারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানায় ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোভেল চাকমা।
এসম্য শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,বুধবার(৪ জুন) বিকাশের ডিএসও খলিলুর রহমান আক্তার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডিলারদের সাথে লেনদেন শেষে আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিলাসেরপাড় ব্রিজে পৌছলে আজ্ঞাত ব্যক্তি তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ব্যাগসহ ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোভেল চাকমা বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গোয়ান্দা পুলিশের মাধ্যমে এ খবর জানার পর শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) আমিনুল ইসলাম হাসপাতালে পরিদর্শনে যান।এসময় ছিনাইয়ের বিষয়টি সন্দেহ হলে রাতে বিকাশ ডিস্টিবিউশন সেলস অফিসার সাইদুল ইসলাম আক্তারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় সম্প্রতি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য তার বন্ধু সাইদুল ইসলামকে নিয়ে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়েছে।পরে খলিলুর রহমান আক্তারের তথ্যমতে নিজ বাড়ি থেকে সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার এবং তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ২ লাখ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায় বিকাশ ডিএসও খলিলুর রহমান এবং সহযোগী সাইদুল ইসলাম শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাটানো হবে।