নিউজ ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচনের যে ডেডলাইন ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বিএনপি এই ঘোষণা প্রত্যাখান করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। শুক্রবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থানের কথা জনান।
তবে সরকারের নির্বাচনের ডেডলাইন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, নাগরিক ঐক্য সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বললেন, নির্বাচনের এই সময় ঘোষনা সরকারের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নয় বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন এপ্রিল মাস নির্বাচনের কোনো উপযুক্ত সময় নয়। সরকার চাইলে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করতে পারতো।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার রাতেই বলেন, দেশের ৫০ টির বেশী রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সেদিকে কর্ণপাত করেনি। ফলে এই ঘোষণা জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
তবে প্রধান উপদেষ্টা সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য নতুন সময় ঘোষণা করেছেন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার রাতে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় ‘জাতি আশ্বস্ত’ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে ‘জাতি আশা করছে’।
অপরদিকে শনিবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নিজ এলাকা কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের তুলাপুর গ্রামের ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,জাতি যেন তেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে।
<span;>জাতীয় নাগরিক পার্টির সভাপতি নাহিদ ইসলাম সরকারের এই ঘোষণায় তাতক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘোষিত সময়ের মধ্যে যদি ‘জুলাই সনদ’, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও গৃহীত সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুর রহমান মান্না বলেছেন এতে অন্তত একটা তারিখ পাওয়া গেছে।