কুলাউড়া প্রতিনিধি :কুলাউড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী আনজুম হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী জুনেল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়নি। এমনকি পুলিশ তার ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এনিয়ে নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও বিক্ষুব্ধ লোকজনের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী আনজুম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান জানান,আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য পুলিশ গ্রেফতারকৃত জুনেলকে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আরিফ বিল্লাহ তারেকের খাস কামরায় হাজির করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত জুনেল বিজ্ঞ বিচারকের সামনে সেই খুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়নি।
সে প্রতারণার আশ্রয় নিতে চাচ্ছে। আমরা ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম আদালত রিমান্ডও নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আবার আদালতে তার রিমান্ডের জন্য আবেদন জানাবো ।
উল্লেখ্য গত ১৬ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছিলো কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমের বোরখা, স্কুলব্যাগ, বই ও একটি জুতা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন , ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা আনজুম পাশের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১৪ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের ছড়ার ধারে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়