কুলাউড়া প্রতিনিধি:;
কুলাউড়ার পৃথিমপাশা নবাব পরিবারের জমি কিনেছেন টোকাফারগের মাধ্যমে। কর্মধা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ৭০-৮০ বছর হয়েছে তাদের বসবাস। দিনাতিপাত ভালোই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ এয়ে বসেছে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্ক। কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলমান উচ্ছেদ অভিযানে তাদের মনে এই ভয়ের সৃষ্টি করতে। এসব ভুমিহীন মানুষের নামে জমি স্থায়ী বন্দোবস্থের দাবিতে শুক্রবার( ২০ জুন) বিকেলে স্থানীয় তুতবাড়ি বাজারে ৬ টি গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এতে এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে ভূমিহীনদের নামে দখলীয় জমি বন্দোবস্থ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ওই সময় পর্যন্ত অঅভিযান বন্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও ভূমি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকাবাসী বলেন, কুলাউড়া উপজেলা কর্মধা ইউনিয়নের তুতবাড়ি,টাট্রিউলি,মুরাইছড়া,যুগিটিলা,গনকিয়া ও হেবাইরতল গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার বাসিন্দা বিগত ৭০-৮০ বছর পূর্বে পৃথিমপাশার নবাব পরিবারের কাছ থেকে টোকাফারগমূলে জায়গা জমি ক্রয় করে বসতি স্থাপন করেন। কিন্তু জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পর উক্ত টোকাফারগমুলে মানুষের জমি চলে যায় সরকারের খতিয়ানে। ভূমি আইনে একজন ভূমিহীন ১০ শতক পর্যন্ত জায়গা তার নামে বন্দোবস্থ নেওয়ার আইন রয়েছে। সেই মোতাবেক ৬ টি গ্রামের শত শত ব্যক্তি তাদের দখলে থাকা এবং তাদের বসত ভিটা বন্দোবস্থের জন্য কুলাউড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদন করেছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ,সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবেদনকারীদের আবেদন আমলে না নিয়ে সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছেন। গত ২ দিন পূর্বে টাট্রিউলি এলাকার সালাউদ্দিন উদ্দিনের বাড়ির সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেংগে ফেলেন ভূমি কর্মকর্তা। এরপূর্বেও ৯/১০ বাড়িতে অভিযান করে কয়েকটি স্থাপনা ভেংগেছেন ভূমি কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রশাসন কর্তৃক খাস জমির উপর বসবাসরত মানুষের বাড়ি ঘর ভাংগা বন্ধ এবং স্থায়ী বন্দোবস্থ প্রদানের দাবী জানিয়ে মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন কর্মধা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারিছ আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ হেলাল,শ্রমিকদলের সেক্রেটারী লুৎফুর রহমান কয়ছর, যুবদল নেতা আব্দুল কাহির,বিএনপি নেতা আব্দুল মতলিব,ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মধার সভাপতি রিপন আহমদ,নেছার আহমদ,ইউনুছ মিয়া প্রমুখ।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন,আমরা কোনো প্রকৃত ভূমিহীনকে উচ্ছেদ করছি না। বরং যারা প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ধরে সরকারী খাস জমি দখলে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে জায়গা উদ্বারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।