আব্দুল বাছিত বাচ্চু:
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে আসন ভাগাভাগি। রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার বিএনপির সাথে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে শরীক বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত লিঁয়াজো কমিটির নেতাদের এক সভা শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এমন কথা জানিয়েছেন। কুলাউড়া আসনের সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান এমন ছাড়ের অপেক্ষায়। কিন্তু এই আসনে কোনো ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি। এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ‘ মৌলভীবাজার নিউজ’কে তাদের এই মনোভাবের কথা জানান। কুলাউড়া বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বলেন, “মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসনে ২০০১ সাল থেকে বিএনপি দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি নিশ্চিত বিজয়ী হবে। এই অবস্থায় কুলাউড়া য় বিএনপির যেকোনো একজনকে প্রার্থী দেওয়ার জন্য আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষন করছি”।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট আবেদ রাজা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব ইতিমধ্যে বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে অবদান আছে এমন সকল দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। সেহেতু আর আসন ভাগাভাগির প্রয়োজনীয়তা থাকে না।প্রতিটি আসনে সকল দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর নির্বাচন হলে ভালো। তারপরও দল যে সিদ্ধান্ত নেনে সেটা চূড়ান্ত।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আরেক সহসভাপতি আলহাজ্ব শওকতুল ইসলাম শকু বলেন, কুলাউড়া আসনে বিএনপি দীর্ঘদিন যাবত ক্ষতিগ্রস্ত। এবছর এখানে বিএনপির প্রার্থী দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদিও আমি একজন প্রার্থী। তবুও আমি বলবো দলের যেকোনো একজনকে প্রার্থী দিলে আমরা মেনে নেবো। কিন্তু কোনো দলকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলের হাইকমান্ডকে আমরা এ বিষয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান বলেন, আমাদের জোরালো দাবি এইবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। আমি নিজেও এখানের একজন একজন প্রার্থী।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, কুলাউড়া আসনে বিএনপির প্রার্থী একজন তিনি হলেন এডভোকেট আবেদ রাজা। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে অনেক জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না ।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল বলেন, আসন ভাগাভাগি নয় আমরা বিএনপির প্রার্থী চাই। এমনকি দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা চাই তৃণমূল থেকে বিএনপিকে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তাদের মধ্যে থেকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি নজেকে প্রার্থী দাবি করে এ বিষয়ে বলেন, আমার বয়স এখন প্রায় ৬০। ১৯৮১ সাল থেকে রাজনীতি করে আসছি।দলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যে ৩ টি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন সেই আলোকে আমিও একজন দাবিদার।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান এ বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন ২০০১ সাল থেকে কুলাউড়া আসনে বিএনপি শুধু ছাড় দিয়েই যাচ্ছে।এতে দল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। আর কোনো ছাড় নয়। এবার অবশ্যই বিএনপির প্রার্থী দিতে হবে। অন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত দলের জন্য ক্ষতিকারক হবে।