কুলাউড়া প্রতিনিধি ঃ শিক্ষিত মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের গোড়াপত্তন করেন যে শিক্ষকরা তারাই একজন আলোকিত মানুষ গড়ার মূল কারিগর। মুক্তিযুদ্ধের ছাত্র সংগঠক, লেখক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মরহুম সৈয়দ আবিদ হোসেন কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন আজীবন। সৈয়দ আবিদ হোসেন সমাজ বিনির্মাণে সারা জীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাকে স্মরণের মাধ্যমে এ প্রজন্ম অনেক কিছু জানবে ও শিখবে। কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মরহুম সৈয়দ আবিদ হোসেনের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টায় সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৈয়দ আবিদ হোসেন স্মরণে ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সাংসদ এডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খানের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন।
সাংবাদিক হাসান আল মাহমুদ রাজুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খুরশেদ আলম, মোহাম্মদ রাজিব মিয়া, পৃথিমপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নজমুল হোসেন, রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সম্পাদক মাসুদ রানা আব্বাছ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক সৈয়দ আশফাক হোসেন তানভীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহেনা আক্তার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবিরবাজার সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল জব্বার, রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাসুক আহমদ, সমাজসেবক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন মাহমুদ, সৈয়দ জয়নাল হোসেন শাহীন, শাহাজান চৌধুরী, ব্যবসায়ী শরীফ আহমদ, চিকিৎসক সাইদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এসময় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি ভবন জরুরীভাবে নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর, অভিভাবক শেডঘর, মাঠ ভরাট, বিদ্যালয়ের সম্মুখে সড়কে গতিরোধক নির্মাণের বিষয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় অতিথিদেরকে। উল্লেখ্য যে, সৈয়দ আবিদ হোসেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর ২০২২ সালে ২৭ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সৈয়দ আবিদ হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ছাত্র সংগঠক ছিলেন।#