কুলাউড়া প্রতিনিধি:মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা হঠাৎ উত্তপ্ত। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে একটি টকশোতে দেওয়া নাদেলের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশোভন ও অশালীন উক্তি করেন। এরপরই উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর তার নিজ নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া উপজেলায় বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নাদেলকে আমি ভদ্র ঘরের সন্তান বলে জানতাম। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি যে উক্তি করেছেন এতে তার নীচু মনমানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার মনে হয় সকল দলের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত যেকোনো নির্বাচনে তিনি ম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চাদাবাজ উল্লেখ করে মুলত পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেক নজরে থাকার চেষ্টা করেছে। তাকে আজীবনের জন্য হাজীপুর ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।
কুলাউড়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, শফিউল আলম চৌধুরী সিলেটের একজন চিহ্নিত চাদাবাজ ভুমি দখদার। আমি ডামি নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে ৭ মাসের এমপি ছিলো। সে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে অশোভন উক্তি করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা শনিবার বিকেলে কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ মিছিল আহবান করেছি।
কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত চৌধুরী রিপন জানান, শফিউল আলম নাদেল আমাদের ইউনিয়নের নাগরিক। শনিবার সন্ধ্যায় পীরেরবাজারে প্রতিবাদ সভা আহবান কতা হয়।