স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ ১১ দিনের মাথায় মৌলভীবাজারের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকারী জুয়েল মিয়া(২২) কে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং ককরে এই তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শহরের শমসেরনগর রোডের সদাই-পাতি নামক নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসাইন। বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ঘটনার তদারকি কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোভেল চাকমা।
তিনি জানান, শ্রীমঙ্গল লোহারপুল এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া এক সময় মিষ্টির দোকানে কাজ করতো। এখন বেকার। এই অবস্থায় তার টাকার খুবই প্রয়োজন ছিলো। গত ৬ আগস্ট থেকে মৌলভীবাজারের শহরে এসে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট শহরে এসে প্রথমে সেন্টাল রোডের একটি স্বর্ণের দোকানে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে শমসেরনগর রোডে ভিকটিম ফয়জুর রহমান রুবেলকে একা পেয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ধ্বস্তাধস্তি হলে ১৫ টি ঘাই দিয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে ১১০০ টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোভেল চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবুল খায়ের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মাহবুবুর রহমান,তদন্ত কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিনসঅহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ১১ দিনের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন।