বড়লেখা প্রতিনিধি :মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে গোপন ব্যালটে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল হাফিজ ললন নির্বাচিত হয়েছেন।শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্থানীয় নারী শিক্ষা একাডেমি প্রাঙ্গণে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে মোট ৬৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৯৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম খোকন ৩১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল ইসলাম পান ২২৫ ভোট এবং ফয়সল আহমদ সাগর পান ২৫ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুল মালিক ২১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে হারুনুর রশিদ পান ১৭০ ভোট, এবাদুর রহমান ১১২ এবং আবু সুফিয়ান তাপাদার পান ৩০ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল হাফিজ ললন ৩২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম রাসেল পান ২৩৮ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সামসুল হাসান ২২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহমদ তাপাদার পান ১৪৯ ভোট এবং বাহার উদ্দিন পান ১০৯ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শামীম আহমদ ১৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর শামীমুর রহমান পান ১৫৩ ভোট, আলমগীর আলম ১২৭ ভোট এবং মুহিবুর রহমান আসুক পান ৭২ ভোট।
রাত ৮টায় ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল হাফিজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ জি.কে. গউছ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন মিঠু, মো. ফখরুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান এবং কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু সহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের লুটের টাকা দেশে ফিরে আসুক। দেশের মূল অর্থনীতির সাথে এই টাকা মিশে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হোক, সেটা আমরা প্রত্যাশা করি। বিএনপি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়, বিএনপি কারো প্রতি প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে আগাবে না। বিএনপি দেশের আইন সমুন্নত রেখে দেশের আইন অনুযায়ী আদালত তাদের বিচার করবে। এই আওয়ামী লীগ আমাদের যত কষ্ট দিয়েছিল, আমাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল।’