আব্দুল বাছিত বাচ্চু
আমি ঢাকা থেকে সরাসরি বাড়িতে আসি। সাধনপুর কাউকাপন বাড়ইগাঁও হরিচক উত্তরপল্কী ফুলপুর,মিয়ারপাড়া সন্দ্রাবাজসহ এলাকার নদীর দুই পারের লোকজনকে বসি স্কুলের নাম ও স্থান নির্ধারণ করার সভায়। এসময় অধিকাংশ লোকের মত আসে কাউকাপন বাজার এলাকায় স্কুল স্থাপনের। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় জমি নিয়ে। অনেক ধনী ব্যক্তিদের কাছে কোনো জমি পাওয়া যায়নি। হঠাৎ মরহুম আব্দুল লতিফ মাস্টার সাহেব, রশিদ ভাই এবং শামসুল হক সাহেব সহ কয়েকজন প্রস্তাব করেন ইন্তাজ ভাই একটা সমাধান পাওয়া যাবে। পরদিন তারা ছুটে গেলেন ইন্তাজ ভাইয়ের বাসায়। তিনি বিকেলে এসে নাম এবং জমি দুইটার সমাধান করে দেন। নিজে জমি দেন। পাশাপাশি উনার ভাইয়েরা প্রত্যেকেই জমি দেন। পাশাপাশি বাবু বিধান চন্দ্র দে এবং মরহুম বদর উল্ল্যাহ সাহেব আরও ১৫ শতক জমি দেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় সাধনপুর জুনিয়র হাই স্কুল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নোংরা গ্রাম্য রাজনীতির কারণে সেটা পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
আমি বলছি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামের হাজী নওয়াব আলী সাহেবের দ্বিতীয় পুত্র ইন্তাজ আলী সাহেবের কথা। বিএনপি নেতা মন্তাজ আলী সাহেবের বড়ভাই। যিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন।
আমি তখন ছোট। সম্ভবত ১৯৮২-৮৩ সালে তিনি হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়ার কথা ছিলো। সেটা আরেক ইতিহাস।
যাক আমি যখন ছোট ছিলাম কাউকাপন বাজারে মাঝেমধ্যে ইন্তাজ ভাইয়ের পাশে বসার সুযোগ হতো। দেওয়ান ভাইয়ের দোকানে। পড়াশোনার খবর নিতেন। উৎসাহ প্রেরণা দিতেন। অনেক রাজনৈতিক বিষয়ে উনার বিশ্লেষণ শুনতাম।ছিলেন গভীর জ্ঞানের অধিকারী। আমার দেখা বৃহত্তর কাউকাপন এলাকায় যে ক’জন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ছিলেন তাদের মধ্য অন্যতম ছিলেন ইন্তাজ ভাই। তিনি একজন নি: স্বার্থ সমাজকর্মী। উনার ২ ছেলে ২ মেয়া সম্ভবত ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে আছেন। ইন্তাজ ভাইয়ের ছেলে রুহুল মুর্ছালীন প্রবাসী পরিষদের দ্বায়িত্বশীল পদে।
আমি হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছি ঠিকই কিন্তু একজন ইন্তাজ আলী হতে পারিনি।
উনার মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।